পরিচয় দেয়ার মত কিছু নাই। তারপরও ছোট্ট করে একটু পরিচয় দই

আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু মুহূর্ত তুলে ধরলাম ( তানিম মাদবর )

পরিচয় দেয়ার মত কিছু নাই। তারপরও ছোট্ট করে একটু পরিচয় দই

নাম : তানিম মাদবর 
পিতা : আজিজুল হক মাদবর 
মাতা : লিপি বেগম 

বেকারত্ব একটি অভিশাপ। বেকারত্ব

বিষণ্ণ মনে বাসা থেকে বেড়িয়ে এলো তানিম, বাসায় আব্বু আম্মুর হতাশা মিশ্রিত মুখ দেখতে চায় না।

সে কি করে দেখুন তা তুলে ধরা হলো?

ইন্টার পাস করা একজন বেকার ছেলে সে, এক বছর হল ইন্টার এর লেখাপড়া শেষ করেছে। কিন্তু এখনো কোন চাকুরী তার ভাগ্যে জুটেনি, চাকুরীর সন্ধান করেনি এমন নয়, সন্ধান অনু সন্ধান সবই করেছে।

শতশত চাকুরীর ইন্টার্ভিউ দিয়েছে কিন্তু চাকুরী একটাও হয়নি। এখনো তার বাড়িতে শত খানি চাকুরী সংক্রান্ত কাগজপত্র পড়ে আছে।

নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার বা গরিব ঘরে এমন তানিমের জন্ম হওয়া দোষের কিছু না। লেখাপড়া করার তীব্র ইচ্ছা ও সংকল্প ছিল লেখা পড়া করে একদিন বড় হবে।

বড় চাকুরী করবে, টাই কোট পড়ে অফিসে যাবে, ভাল বেতন পাবে, আম্মু আব্বুর আর কোন দুঃখ থাকবেনা।

কল্পনায় যখনি তার মা বাবার হাসি মাখা মুখ দেখতো সেটা ভেবে তার মন খুশিতে ভরে যেতো।

তার মা বাবারও আশা মেজো ছেলে একটা চাকুরী পাবে,সংসারের হাল ধরবে",

তানিম ঘুরছে চাকুরীর সন্ধানে, ইন্টার পাস করার পর অফিসে অফিসে চাকুরীর সন্ধানে ছুটা ছুটি করাই যেন তার কাজ। দরিদ্রতা ঘোচাতে তার আর কত দেরী আর কত অপেক্ষা? মাসে মাসে কতগুলো ইন্টার্ভিউ দেয়া হচ্ছে, সরকারি বেসরকারি, প্রাইভেট কোম্পানি কিছুই বাদ দেয়নি। সারাদিন অফিসে অফিসে চাকুরী খুঁজা খুঁজি, সন্ধায় টিউশনি আর রাত্রে চাকুরীর ইন্টার্ভিউয়ের প্রিপারেশন।

সব মিলিয়ে একটা অভিশপ্ত জীবন যাপন।

বাবার ও বয়স হয়েছে এখন আর বাবা কিছু করতে পারে না। তাই পরিবারের হাল আমাকে ধরতে হবে। এটা ভেবে রাতে ঘুমাতে পারিনা।

যন্ত্রণায় প্রতিটা রাত ছটফট করে কাটাই একটু উন্নত জীবন যাপনের আশায় কতইনা প্রচেষ্টা করলাম চাকরির জন্য একটা হলো না। 

সবকিছু বাদ দিয়ে বর্তমানে ভেবেই নিয়েছি আমি বিদেশ যাবো যেই ভাবা সেই কাজ বানিয়ে ফেললাম পাসপোর্ট। বিদেশ যাবো পরিবার ও নিজেকে একটু ভালো রাখার জন্য। 

হঠাৎ একদিন দেখা হল আমাদের এক এলাকার দালালের সাথে সে আমাকে বলল ইউরোপ নিয়ে যাবে তিন মাসে পাসপোর্ট জমা দিলাম তার কাছে।

আজ এক বছর হয়ে গেল বিদেশ যেতে পারলাম না দালালের খপ্পরে পড়ে জীবন থেকে হারিয়ে ফেললাম একটি বছর জানি না এর শেষ পরিনিতি কি আছে। সেটা ভাবল এখন মন খারাপ হয় নিরবে কাঁদি একা একা রাতে। জীবনে যাই করি ব্যর্থতা আমার পাশে লেগেই থাকে জানিনা কবে সফলতার ধরা দেবে আমার কাছে। 

এখন অপেক্ষায় আছি দালালকে পেটাবো এটাই আমার শেষ ইচ্ছা

পড়ালেখা শেষ করে বেকার বাড়িতে বসে থেকে একটি বছর কাটিয়ে দিলাম দালালের কথা শুনে ।

হতাস হৃদয় বেড়িয়ে এলাম রাস্তায়, হঠাৎ রাকিবের সাথে দেখা, সে এখনো আমার মত বিদেশ যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে বসে আছে। দুজনে একসাথে বসে অনেকক্ষণ কথা বলার।

তানিম বাড়ি ফিরতে রাত অনেক হয়ে গেছে, বাবা বারান্দায় বসে আছেন তানিম বাবার পাশে অন্য একটি চেয়ারে বসলো তার খুব ক্লান্তি লাগছে।

তানিম এর বাবা তানিমের পিটে হাত রেখে দিয়ে বললেন চিন্তা করিস না বাবা একদিন তুই অনেক বড় হবি অনেক বড় তোর মনের আশা পূর্ন হবে।

তানিম বাবাকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি ছেড়ে দিল।

তানিম ভাবছে আদো কি তার আশা পূরণ হবে? 


সুন্দর হোক আগামী দিনগুলোর পথ চলা ।

স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাও


Facebook : Tanim Madara 

তানিম এর পরিচয় 

নাম: তানিম মাদবর 

বয়স : ২১ বছর 

পিতার নাম : আজিজুল হক মাদবর

মাতার নাম : লিপি বেগম

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ইন্টার পাশ

বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত

ঠিকানা : গ্রাম সুবেদার কান্দি , পোস্ট অফিস: মজুমদার কান্দি , থানা পালং মডেল শরীয়তপুর, জেলা শরীয়তপুর সদর , শরীয়তপুর , ঢাকা বাংলাদেশ


the writer : RM Rakibul Islam 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Ads